অসম বিধানসভা নির্বাচনের আগে বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল (বিটিসি) নির্বাচনে বড় ধরনের ধাক্কা খেল বিজেপি। শনিবার ভোট গণনায় দেখা গেছে, বোড়ো অধ্যুষিত এলাকায় তিন নম্বরে বিজেপি। ৭ ডিসেম্বর ও ১০ ডিসেম্বর দুই দফায় এই নির্বাচনে ভোট নেয়া হয়।
সামনের বছরের মে-জুন মাসে অসম বিধানসভার ভোট। তাই অসমিয়া গণমাধ্যম বিটিসির ভোটকে ‘সেমিফাইনাল’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। কারণ, রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত বিটিসির এলাকা।
বিজেপি এবারের ভোটে একাই লড়েছে। রাজ্যে তাঁদের শরিক বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ) ও অসম গণ পরিষদ (অগপ) এর সঙ্গে জোট করেনি। কিন্তু রাজ্যের সরকার চলছে দুই দলের সমর্থনে।
রাজ্যের মন্ত্রিসভাতেও রয়েছেন বিপিএফ ও অগপ এর প্রতিনিধিরা। তবু জোট ভেঙে একাই শক্তি পরীক্ষায় নামে বিজেপি। আর তাতেই নেমে আসে বিপর্যয়।
বোড়োল্যান্ড এলাকায় অগপ এর তেমন শক্তি না থাকায় ভোট প্রচারে বিজেপি চাঁদমারি করে বিপিএফকে। তাদের বিরুদ্ধে তোলে দুর্নীতির একগুচ্ছ অভিযোগ। বিপিএফ নেতাদের জেলে ভরারও হুমকি দেন বিজেপির মন্ত্রীরা।
সর্বশক্তি দিয়েই বিজেপি মাঠে নেমেছিল। ভোটে প্রশাসনকে কাজে লাগানোরও অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিপিএফের একাধিক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে জোটধর্ম ভেঙে দলবদলও করান বিজেপি নেতারা।
কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিজেপি পেয়েছে ৪০টির মধ্যে মাত্র ১০টি আসন। বিপিএফ জিতেছে ১৬টি আসনে।আরেক আঞ্চলিক দল ইউপিপিএল ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে।
কংগ্রেস বোড়ো অধ্যুষিত এলাকায় বহুকাল ধরেই দুর্বল। তবু তাঁরা এবার খাতা খুলতে সমর্থ হয়েছে। একটি আসনে জিতেছেন কংগ্রেস-এআইইউডিএফ জোট প্রার্থী।
বিজেপি নেতারা এই বিপর্যয়ের জন্য মুসলিম ভোটকে দায়ী করছেন। সেইসঙ্গে বিপিএফের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা।
বিপিএফ প্রধান হাগ্রামা মহিলারি বলেন, বোড়ো এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাব। মানুষ আমাদের কাজ দেখেই ভোট দিয়েছেন।’
রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ। সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও তাঁরা হারবে।কারণ অসমের মানুষ তাঁদের চাইছে না।